বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসিদ আলীর পুত্র চান্দ আলীর বিরুদ্ধে সরকারি খাস ভুমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের একি গ্রামের মৃত আব্দুল হক এর ছেলে দিলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি গত ১৭ ই এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে দায়ের করা হয়।.
.
একি ভুমি দখলের অভিযোগে এনে ২০১৯ সালে আরেক বার আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ জানুয়ারি ১৯ ইং তারিখে উপজেলার রামপাশা ভুমি অফিসের ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ আলী একটি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা ভুমি কমিশনার বরাবরে দাখিল করেন। তার প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ উপজেলা ভুমি কমিশনার সরকারি জমি উদ্ধার ও সীমানা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করেন এমনটি জানা গেছে সরজমিনে একাধিক স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মার্চ চান্দ আলীকে পুনরায় অভিযুক্ত করে আপতাব আলী নামের আরেক ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমান অভিযোগ পত্রে আগের অভিযোগের বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে। .
.
বারবার একি ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে দায়ের করা অভিযোগের কাগজপত্রে একি ধরনের অভিযোগ ব্যাক্ত করা হয়েছে। .
.
সম্প্রতি দায়েরকৃত অভিযোগ পত্রে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত চান্দ আলী উপজেলার নোয়াগাঁও ও পুর্ব প্রয়াগমহল মৌজার সরকারি ১ নং খতিয়ানের ৩৫৯১ ও ৯২ দাগের জবর দখলকৃত ভুমিতে সীমানা নির্ধারণ না করে গাছ কাটা, মাটি ভরাট ও পাকা গৃহ নির্মাণ করছেন। বিগত ২৮ মার্চ ইং তারিখে গাছ কেটে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। সরকারি ভুমিতে মাটি ভরাটের ফলে খালের পানি ব্যবহারের বিঘ্নিত ও বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। .
.
অভিযোগের বিষয়ে আজ ২০শে এপ্রিল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অভিযোগে বর্ণিত দাগ খতিয়ানের ভুমিতে রাস্তায় ইট, বালু ও পাথর সহ কিছু মালামাল রয়েছে এবং অনতি দুরে একটি পাকা গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। .
.
অভিযুক্ত চান্দ আলীর সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক জৈন্তাবার্তা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, কে বা কারা অভিযোগ করেছে তিনি তা অবগত নয়। তবে তিনি খাস ভুমি দখল ও গাছ কর্তন করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি এমন কোন কাজ করি নাই। মাটি ভরাট আমার ভুমিতে করেছি। কোন গাছ কাটি নাই। সরকারি ভুমির সীমানা নির্ধারণ করা আছে। এ নিয়ে অতীতের কয়েকবার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বিগত দিনে উপজেলা ভুমি কমিশনার ও সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন ও অন্যান্যা মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় বিরোধ সমাধান করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্মিতব্য পাকা গৃহের বিষয়ে তিনি বলেন এটি আমার ঘর নয়। এটি আমার বাড়ির অন্য বাসিন্দা নির্মাণ করছেন। .
.
বিরোধকৃত ভুমির মালিক কাগজপত্রে সরকারের এবং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। খাল এবং কাঁচা রাস্তা হিসেবে এলাকার জনসাধারণ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার ও গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। তবে অধিকাংশ খাস ভুমি গ্রামের একাধিক বাসিন্দা কর্তৃক দখলের কবলে রেখেছেন। এই ভুমি উদ্ধারের পক্ষে অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেছেন।.
.
সদ্য দায়ের কৃত নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: